জামিন পাওয়ায় আসামিদের অপহরণ করলো বাদী ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়,ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের সামনে থেকে আসামিদের অপহরণের অভিযোগ উঠেছে বাদী পক্ষের বিরুদ্ধে। অপহৃত তিন যুবককে ৯৯৯-এ কল পেয়ে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় এক অপহরণকারীকেও আটক করা হয়।
জামিন পাওয়ায় আসামিদের অপহরণ করলো বাদী ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়
এ ঘটনায় মামলার পর শুক্রবার বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
অপহৃত তিন যুবক হলেন- কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের জাহের মিয়ার ছেলে সোহাগ মিয়া-(৩০), একই গ্রামের নেসার উদ্দিনের ছেলে হিমেল মিয়া-(১৯) ও আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের নোয়ামোড়া গ্রামের ইয়াজ উদ্দিনের ছেলে মুন্না মিয়া-(৩৫)। আটক ব্যক্তির নাম লাল মিয়া (২৯)। তিনি গোপীনাথপুর গ্রামের আনোয়ার মিয়ার ছেলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, কসবা উপজেলার লাল মিয়ার সঙ্গে সোহাগ মিয়া, হিমেল মিয়া ও মুন্না মিয়ার বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধের জেরে লাল মিয়ার সঙ্গে কয়েকদিন আগে তাদের ঝগড়া হয়।
এ ঘটনায় লাল মিয়া তাদের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা করেন। বৃহস্পতিবার ওই মামলায় সোহাগ মিয়া, হিমেল মিয়া ও মুন্না মিয়া আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাদের জামিন দেন।

ওসি আরও বলেন, জামিন পেয়ে তারা আদালত চত্বর থেকে বের হচ্ছিলেন। এ সময় সামনের রাস্তা থেকে মামলার বাদী লাল মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘর গ্রামের তার ভগ্নিপতি ও খালাতো ভাই সাহস মিয়াসহ ছয়-সাতজন যুবক তাদের দেশীয় অস্ত্রের মুখে মোটরসাইকেলে তুলে নেন।
প্রথমে শহরের ওয়াপদার ভেতরে ও পরে ভাদুঘর রেললাইনের পাশে বাঁশ ঝাড়ের নিচে নিয়ে মারধর করেন। লাল মিয়া ও সাহস মিয়া তাদের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা না দিলে তাদের ট্রেনের নিচে ফেলে মেরে ফেলার হুমকি দেন।
এমরানুল ইসলাম বলেন, তিন যুবক তাদের স্বজনদের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা লাল মিয়ার বিকাশ নম্বরে এনে দেন। সুযোগ বুঝে অপহৃত যুবকদের একজন জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করে পুলিশের সহায়তা চাইলে বিকেল সাড়ে ৪টার সময় পুলিশ ভাদুঘর এলাকার রেললাইনের পাশ থেকে তিন যুবককে উদ্ধার ও অপহরণকারী লাল মিয়াকে আটক করে।
লাল মিয়ার কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে নেওয়া ১৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সোহাগ মিয়া বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি। শুক্রবার গ্রেফতার লাল মিয়াকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন:
1 thought on “জামিন পাওয়ায় আসামিদের অপহরণ করলো বাদী ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়”